সিনিয়র রিপোর্টারঃ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ও ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলের প্রায় ৩৩ হাজার নেতাকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরমধ্যে সংসদ নির্বাচনে ১০ হাজার ৫০০ জন এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২২ হাজার ২৭৫ জন রয়েছেন। মাস্টার ট্রেইনার হিসাবে প্রত্যেককে দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ দেবে ইসি। নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে থেকে এ প্রশিক্ষণ শুরু হবে।
এর লক্ষ্য হিসাবে বলা হচ্ছে-প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নেতাকর্মীরা নিজ দলের পোলিং এজেন্টদের নির্বাচনি আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী দায়িত্ব, কর্তব্য ও করণীয় প্রশিক্ষণ দেবেন। এতে ভোটগ্রহণের দিন পোলিং এজেন্টরা সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হন। নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) ‘প্রশিক্ষণ বর্ষপঞ্জি’তে এবারই প্রথম এ ধরনের প্রশিক্ষণকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি এটি অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র আরও জানায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ২২ ধরনের প্রশিক্ষণের আয়োজন করবে ইটিআই। এর আওতায় বিভিন্ন পর্যায়ের অন্তত ৯ লাখ ৮৮ হাজার ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এরমধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক ও দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও। তাদেরও দিনব্যাপী নির্বাচনি প্রশিক্ষণ দেবে কমিশন। যদিও ওই প্রশিক্ষণের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওরিয়েন্টেশন বা ব্রিফিং’। কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ে পৃথকভাবে এসব প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে।
ইটিআই’র একাধিক কর্মকর্তা নাম গোপন রাখার শর্তে জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এবারই প্রথম রাজনৈতিক কর্মী, সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওইসব প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য সম্মানী হিসাবে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। তারা আরও জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ আগামীকাল ২ সেপ্টেম্বর শনিবার শুরু হবে। এরপরই ধারাবাহিকভাবে প্রশিক্ষণ চলতে থাকবে।
প্রসঙ্গত, আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষ বা জানুয়ারির শুরুতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তফশিল ঘোষণা করা হবে নভেম্বরে। সংসদ নির্বাচনের পরপরই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।