স্টাফ রিপোর্টারঃ
মাত্র ২২ দিনের মাথায় কেরানীগঞ্জে বন্ধ ফ্ল্যাটে প্রকৌশলী সদরুল আলম নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছেন ঢাকার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
পুলিশ সুপার বলেন,ধারালো অস্ত্র দিয়ে সদরুল আলমকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে পেশাদার চোরচক্রের সদস্যরা। এ ঘটনার মূলহোতা আল আমিন’সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান, ওই বাসায় ঘটনার রাতে শব্দ শুনে ঘুম থেকে জেগে উঠে আল আমিনকে ধরে ফেলেন সদরুল। তখনই তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। গত ১৩ আগস্ট কেরানীগঞ্জের আরশিনগরের ভাড়া ফ্ল্যাট থেকে প্রকৌশলী সদরুল আলমের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বন্ধ ফ্ল্যাটে নৃশংসভাবে সদরুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কেরানিগঞ্জ থানায় মামলা করেন তার বড় বোন।
এরপর হত্যাকাণ্ডের কারণ ও জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযানে নামে পুলিশ। ঘটনার ২২ দিনের মাথায় এসে হত্যার রহস্য ও জড়িত আল-আমিন, শুভ ও রিমন হোসেন নামের তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়। এরা সবাই পেশাদার চোর। বাসাটির সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় কিভাবে প্রকৌশলী সদরুল আলমের ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে আল-আমিন। এর পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজে স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানেও আল আমিনকে চুরি করতে দেখা যায়। এসব বিশ্লেষণ করেই সদরুল হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে।
ঢাকার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই মাদক ও চুরির একাধিক মামলা রয়েছে। নিহত প্রকৌশলী সদরুল আলমের বাড়ি রংপুরে। আরশিনগরের ইউনুস মিয়া নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে একবছর ধরে একাই থাকছিলেন বলেও জানান তিনি।