নারীর সম্ভ্রমহানি রোধে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সচেতনতার আহবান

নারীর সম্ভ্রমহানি রোধে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সচেতনতার আহবান

 

স্টাফ রিপোর্টার

বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) এর আইন শাখা কর্তৃক আয়োজিত ‘নারীর সম্ভ্রমহানি পরবর্তী জটিলতা ও প্রতিরোধ উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে সচেতনতা সৃষ্টির আহবান জানিয়েছেন বক্তারা।

রাজধানীর রমনাস্থ পুনাক ভবনে শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকালে আয়োজিত সেমিনারটিতে প্রধান অতিথি ছিলেন পুনাক সভানেত্রী ডা. তৈয়বা মুসাররাত জাঁহা চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেড এইচ সিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাশিদ তাবাসসুম খান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. মমতাজ আরা। অনুষ্ঠানে পুনাক সাধারণ সম্পাদিকা নাসিম আমিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. নাশিদ তাবাসসুম খান।

পুনাক সভানেত্রী ডা. তৈয়বা মুসাররাত জাঁহা চৌধুরী বলেন, আমাদের পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের চারপাশে নারীর সম্ভ্রমহানি প্রতিরোধের বিষয়ে জানান দেয়ার সময় হয়েছে।

তিনি বলেন, মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকালিন সমস্যা নিয়ে পরিবারের সাথে খোলামেলা কথা বলতে হবে। বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে এ বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

তিনি বলেন, সম্ভ্রমহানি প্রতিরোধে সামাজিক, পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে।

ডা. নাশিদ তাবাসসুম খান বলেন, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে। এক্ষেত্রে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গণমাধ্যমকে ভূমিকা রাখতে হবে।

ডা. মমতাজ আরা বলেন, শিশুর সম্ভ্রমহানির ক্ষেত্রে পিতা-মাতার অসচেতনতা ও উদাসীনতা মূল কারণ।

পুনাক সাধারণ সম্পাদিকা নাসিম আমিন বলেন , যারা সম্ভ্রমহানির শিকার হন তাদেরকে সমাজের চোখে অন্যভাবে দেখা হয়। এ বিষয়ে সোশ্যাল অ্যাওয়ারনেস সৃষ্টি করতে হবে, দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে।

 

editor

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *