স্পোর্টস রিপোর্টার
তিন ম্যাচের সিরিজের সবশেষটির আগের ম্যাচে এক উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে ওয়ানডে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছিল পাকিস্তান। সেদিনও অপূর্ণ থেকে যায় আফগানদের প্রথমবারের মত পাকিস্তানের বধের সপ্ন।
তৃতীয় ম্যাচটি পাকিস্তানের জন্য ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারন ম্যাচটি জিতলেই যে র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর জায়গা তাদের। সেটিই হল। আফগানিস্তানকে ধবল ধোলাই করে এই অর্জন লুফে নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেনি বাবর আজমের দল। শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে আফগানদের ৫৯ রানে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে পেছনে ফেলে ওয়ানডের শীর্ষ দল হলো পাকিস্তান।
প্রথমে ব্যাট করতে নামার পরই পাকিস্তান বিপদে পড়ে। গুলবাদিন নাইব পাকিস্তানি ব্যাটার ফখর জামান (২৭) ও ইমাম উল হককে (১৩) প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে আফগানিস্তানকে ভালো শুরু এনে দেন। ৫২ রানে ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
এরপর অভিজ্ঞ দুই ব্যাটার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের দৃঢ়চেতা জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। তাদের জুটি একশ পেরিয়ে যায়। মাঝে ছন্দ পতন। বাবরকে থামান রশিদ খান। পাকিস্তানের অধিনায়ক ৮৬ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৬০ রান করেন।
১১০ রানের এই জুটি ভেঙে যাওয়ার পর আবারও নড়বড়ে হয়ে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন। ২ উইকেটে ১৬২ রান করা দলটি ষষ্ঠ উইকেট হারায় ১৮৯ রানে। রিজওয়ান ৭৯ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে ইনিংস সেরা ৬৭ রান করেন।
সপ্তম উইকেটে আগা সালমান ও মোহাম্মদ নওয়াজের ৬১ রানের জুটিতে আড়াইশ ছোঁয় পাকিস্তান। দুজনেই ত্রিশের ঘরে রান তোলেন। নওয়াজ ৩০ রানে বিদায় নিলেও ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন আগা।
৮ উইকেটে ২৬৮ রানে পাকিস্তানকে থামায় আফগানিস্তান। লক্ষ্য খুব বড় ছিল না। কিন্তু পাকিস্তানি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রানের গতি তো ছিলই না, বরং উইকেট হারাতে থাকে নিয়মিত বিরতিতে। দলের স্কোরবোর্ডে ১০০ হওয়ার আগেই ৭ উইকেট নেই তাদের।
শহীদুল্লাহ ও মুজিব উর রহমান শক্ত হাতে না দাঁড়ালে বড় ধরনের বিপর্যয় দেখতো আফগানিস্তান। এই দুজনের জুটি ছিল ৫৭ রানের। শহীদুল্লাহকে ৩৭ রানে ফিরিয়ে তাদের বিচ্ছিন্ন করেন শাদাব খান।
একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যান মুজিব। মাত্র ২৬ বলে ৩ চার ও ৫ ছয়ে প্রথম ওয়ানডে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। আফগানিস্তানের জার্সিতে দ্রুততম ফিফটি হাঁকান মুজিব। তার দারুণ ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে। শাহীন শাহ আফ্রিদির বল ফ্লিক করতে গিয়ে তার পা লাগে স্টাম্পে। হিট উইকেটে আউট হন মুজিব। ফরিদের সঙ্গে তিনি ৪৫ রানের জুটি গড়েন। তার ৩৭ বলে ৬৪ রানের ইনিংসে ছিল পাঁচটি করে চার ও ছয়।
৫০ ওভার শেষ করে মাঠ ছাড়ার সম্ভাবনা জাগায় আফগানিস্তান। কিন্তু পারেনি। ৪৯তম ওভারের চতুর্থ বলে ফরিদকে বোল্ড করে ২০৯ রানে অলআউট করেন আফ্রিদি।