স্টাফ রিপোর্টারঃ
রাজাকাররা নয় বরং বাঙ্গালিদের সহযোগিতায় সাম্রাজ্যবাদ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য শেখ কবির হোসেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলো কেন, কারণটা কী? খালি কী রাজাকাররা হত্যা করছে? আমি বিশ্বাস করি না। আপনারা হয়তো করতে পারেন। আমাদের বড় বড় লেখকরা বা বড় বড় পন্ডিতরা মনে করতে পারে। আমি বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে অন্য কারণে। সাম্রাজ্যবাদ তাকে হত্যা করেছে। বাঙালিদের সাপোর্ট(সহযোগিতা) নিয়ে।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচকের ব্যক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
শেখ কবির বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন বিশ্ব আজ দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগের শোষিত, নির্যাতিত নিষ্পেষিত অবহেলিত মুক্তিকামী। আরেক দিকে শ্বাসিত, সাম্রাজ্যবাদ। আমি শোষিতদের পক্ষে। এইযে কথাটা বলেন একটা হুমকি দিছিলেন তিনি, তারপর বাংলাদেশ যে স্বাধীন হলো তখন সাম্রাজ্যবাদ দেখলো গেরিলা ট্রেনিং, কোনো ধরনের ট্রেনিং না দিয়ে ভালোবাসা দিয়ে একটা দেশকে স্বাধীন করলো মানুষের ভালোবাসা দিয়ে। আমরা যুদ্ধ করেছি। ভারতের সহযোগিতা আমরা পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু হয়তো তাদেরকে বলেছিলেন সহযোগিতা করতে। ভারতের সাহায্য এবং আমাদের মনোবল দিয়েই আমরা যুদ্ধ করেছি।
শেখ কবির বলেন, মানুষকে বঙ্গবন্ধু ভালোবাসতেন। তখন সাম্রাজ্যবাদ দেখলো যে ভালোবাসা দিয়ে যদি একটা দেশকে স্বাধীন করতে পারে তাহলে সে বিশ্বকে যেকোনো সময় সাম্রাজ্যবাদকে নাড়া দিতে পারে বিধায় তারা হিসাব করে দেখলো একে হত্যা করা দরকার। এতেই সাম্রাজ্যবাদ রাজাকারদের সাথে হাত মিলালো।
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি স্পেশাল ব্রাঞ্চ(এসবি) এর প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ।

